প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতা ও কর্ম – আল শাহারিয়া

You are currently viewing প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতা ও কর্ম – আল শাহারিয়া

প্রতিবাদী মতবাদ হলো খ্রিস্টধর্মের দ্বিতীয় বৃহত্তম শাখা। খ্রীষ্টানদের মধ্যে যে প্রধান তিনটি ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠী রয়েছে, তাদের একটি গোষ্ঠীর বিশ্বাসকে বলা হয় প্রতিবাদী মতবাদ, যা আসলে কোনো বিশেষ বিশ্বাস নয়, বরং বিভিন্ন ছোটো গোষ্ঠীর সমষ্টি। এর অনুসারীর সংখ্যা ৮০ কোটি থেকে ১০০ কোটি, যা সমগ্র খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ৩৭%। অনেকে ক্যাথলিক ছাড়া বাকি খ্রীষ্টানদের প্রতিবাদী মতাবলম্বী বলে ধরে নেয়। এটি ১৬শ শতাব্দীতে শুরু হয়েছিল।


আর “প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতা ও কর্ম” হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা মূলত একটি ধর্মের নৈতিক এবং দারিদ্রবিরোধী কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করে। এই ধারণা অনুযায়ী, কর্মই মানুষের পরিস্থিতি উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। ম্যাক্স ওয়েবার তার ‘দ্য প্রোটেস্ট্যান্ট এথিক অ্যান্ড দ্য স্পিরিট অফ ক্যাপিটালিজম’ বইয়ে ১৯০৫ সালে এই শব্দগুচ্ছটি ব্যবহার করেন।

এই ধারণার মূলনীতি হলো কর্ম। দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পথে একটি পথ হিসেবে কর্মকে দেখা হয়। এবং কর্মই একটি নৈতিক জীবনদর্শন দেয় এবং সহনশীল হতে শেখায়। এটাই ধর্মের মূল। প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্ম অনুযায়ী, কর্ম করে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও নিজেকে সমৃদ্ধ করা উচিত।

এইভাবে, “প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতা ও কর্ম” একটি দীর্ঘস্থায়ী, প্রভাবশালী নৈতিক ধারণা যা একজন ব্যক্তির জীবনে দারিদ্র্য এবং উন্নতির সাথে একত্রিত হওয়ার উপযোগী।

প্রতিবাদী মতাবলম্বীরা রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলীর আধিপত্য ও ধর্মীয় সংস্কৃতির মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করে, তবে ইউক্যারিস্টে যীশুর প্রকৃত উপস্থিতি, শাসনব্যবস্থা ও উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। তারা সকল বিশ্বাসীদের যাজকত্ব, শুধু বিশ্বাসের দ্বারা নয় বরং ভালো কাজের দ্বারা বিশ্বাস ও নৈতিকতায় কেবল বাইবেলের সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের ওপর জোর দেয়।

আল শাহারিয়া
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

Leave a Reply