চোখ ভালো রাখতে নিয়মিত কাঁদুন

চোখ হলো মানবদেহের সবচেয়ে সংবেদনশীল অঙ্গ। বস্তু থেকে আলো চোখে প্রতিফলিত হয় । তাই আমরা কোনো বস্তুকে দেখতে পাই। একারণে আলোর সঠিক ব্যবহার চোখকে ভালো রাখতে খুব দরকারি। আজ জানবো কিভাবে চোখ ভালো রাখতে কি করা উচিৎ।

চোখ ভালো রাখতে করণীয়

খুব তীব্র আলো যেমন চোখের জন্য ক্ষতিকর তেমনি খুব ক্ষীণ আলো-ও চোখের জন্য ক্ষতিকর । দিনের সূর্যের আলো সরাসরি চোখে লাগানো ক্ষতিকর। এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে রোদচশমা খুব কার্যকর।

টিভির স্ক্রিন থেকে আসা আলো চোখের ক্ষতি করে। তাই টিভি দেখার সময় একটি বাল্ব জ্বালিয়ে টিভি দেখলে টিভি থেকে আসা আলো চোখের তেমন ক্ষতি করতে পারে না। তবে অবশ্যই টিভি থেকে ১০ ফুট দুরত্বে থেকে টিভি দেখা উচিত।

মাথার খুশকি থেকে চোখ আক্রান্ত হয়ে ব্লেফারাইটিস দেখা দিতে পারে। চোখে প্রসাধনী ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেরই প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে এলার্জিক সমস্যা দেখা দেয়।

চশমা ব্যবহার করে চোখকে অনেকটাই প্রতিরক্ষা দেওয়া যায়। যাঁদের চশমা প্রয়োজন‚ তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে চশমা পরা উচিত। তবে নিজের পছন্দমতো চশমা নির্বাচন খুব বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আঘাত থেকে বাঁচতে এবং ধুলো-ময়লা থেকে চোখকে রক্ষা করতে চশমা ব্যবহার করা ভালো । কারণ ধুলো-ময়লায় অনেকের এলার্জিক সমস্যা আছে। যদি হঠাৎ চোখে কিছু পড়ে তাহলে দ্রুত চোখে শীতল পানি ঢালা উচিত ৷

চোখে বালু‚ পাথর ‚ কীটপতঙ্গ পড়লে মোটেও ঘষাঘষি করা উচিত নয়। এতে চোখের খুব বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । খুব সাবধানে নরম কাপড় বা কটন বাটস্ দিয়ে চোখের ভিতর থেকে ময়লা বের করার চেষ্টা করতে হবে।

যদি তাতেও কাজ না হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকা উচিত। কারণ প্রচুর ব্যথা অনুভব হলে স্বভাবতই তাঁরা চোখ চুলকাবে। ফলে চোখের বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এছাড়া চোখের অশ্রুতে লাইসোজাইম নামক এনজাইম থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়ানাশক হিসাবে কাজ করে । চোখকে বারংবার ভিজিয়ে দিয়ে অশ্রু বহিরাগত কণা ও অণুজীবের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে । তাই চোখ ভালো রাখতে নিজে কাঁদুন এবং পাশের মানুষটিকে কাঁদতে সহায়তা করুন।

লেখক
আল শাহারিয়া

Similar Posts

  • |

    প্রেম মূলত যেমন

    প্রেম মূলত যেমন আল শাহারিয়া এর লেখা একটি স্মৃতিচারণমূলক ছোট গল্প। প্রেম মূলত যেমন এ শহরে কবিতায় গল্প লেখা হয় আবার উল্টোটাও হয়। আকাশ-মেঘে বৃষ্টি এলে কিশোর-কিশোরীর নবযৌবনা প্রেম যেন আরেকটু উদ্দীপ্ত হয়ে ডানা মেলে আকাশে। তখন শহুরে রিক্সার প্রায় সত্তর শতাংশ তাঁদের দখলে থাকে। ওরা একগুচ্ছ কদমে আর চিনি ছাড়া বৃষ্টি মেশানো চা’য়ে চুমুক…

  • |

    আল শাহারিয়া’র তিন

    এক আমি কেবলই নিথর চেয়ে থাকি‚ আদতে দেখি না কিছুই। আমাকে রেখে গিয়েছে এক কর্পোরেট শীত‚ গোছানো যৌবন আর অগোছালো কৈশোর। ফেলে গিয়েছে অক্সিজেন‚ বেপরোয়া লোকাল বাস‚ সিএনজির এক্সট্রা চার্জ আর…. মিরপুর! ইতিহাস হবে না এসব‚ এক মামুলি দিনযাপন জানি। তবু‚ আমার কাছে ছিল হুট করে একটু হেসে ফেলা আর দূরপাল্লায় অনেকের থেকে দূরে থাকা।…

  • নাগরিক জার্নাল – আল শাহারিয়া

    নাগরিক জীবন হতে পারে শহুরে বা গ্রাম্য কিংবা বন্য। নানা সময়ে নানা কথা লেখা হয়ে থাকে আমাদের ডায়েরির পাতায়। সেসব থেকেই আমাদের তিন পর্বের নাগরিক জার্নাল। লিখেছেন আল শাহারিয়া। নাগরিক জার্নালঃ পর্ব ০১ গ্রাফিতি হতে কিশোরীর ছুটে চলা মেঠোপথ আর মর্গ থেকে সোজাসুজি নরকের যাত্রাপথ যথাক্রমে মানুষ ও আত্মায় পরিপূর্ণ। গ্রাফিতির শহরে প্রতিটি ধুলোজমা পায়ে…

  • |

    চে গুয়েভারাঃ সভ্যতার আধুনিকতম বিপ্লবী – আল শাহারিয়া

    বিপ্লবের সুষম উদাহরণ চে গুয়েভারা। তাকে নিয়ে জানার রয়েছে অনেককিছুই। সেসব কথাই লিখেছেন আল শাহারিয়া। চে গুয়েভারা ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী, বিপ্লবী, চিকিৎসক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তার পূর্ণ নাম হলোঃ এর্নেস্তো গুয়েভারা দে লা সের্না। তার জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনার রোসারিওয়ায়। তিনি পেশায় ছিলেন…

  • রোজ যা শিখছি (পর্ব ১,২ ও ৩) – আল শাহারিয়া

    ‘রোজ যা শিখছি’ একটি শিক্ষামূলক ধারাবাহিক। যা লেখেন আল শাহারিয়া। এতে রোজ নতুন নতুন জানা-অজানা বিষয়কে গুছিয়ে লেখা হয়। পর্ব-১: আল কুরআন ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন। চারটি আসমানী কিতাবের মধ্যে এটিই সর্বশেষ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে সভ্যতায় আবির্ভাব হয়েছে এই কিতাবের। ধর্মমতে এটি আল্লাহর বাণী দিয়ে সজ্জিত। পুরো পৃথিবীর পুরাঘটিত,…

  • |

    মেডুসা: গ্রিক মিথোলজির এক কালো অধ্যায় – আল শাহারিয়া

    গ্রিক মিথোলজি অনুসারে, মেডুসা একসময় একজন অত্যন্ত সুন্দর নারী ছিলেন যিনি এমন এক সর্পকেশী দানবীতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন যে মানুষকে পাথরে পরিণত করতে পারে। তার চুল সাপে পরিণত হয়েছিলো এবং চোখে মানুষকে পাথর করে দেওয়ার অভিশাপ ছিলো। মেডুসার অহংকারের শাস্তি হিসাবে দেবী এথেনা তাকে এই অভিশাপ দেন। সাম্প্রতিক সময়ে মেডুসাকে কেউ কেউ নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসাবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *